শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

সরকারি বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি আদায়, প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার:: ঢাকার নবাবগঞ্জের ৫২নং বান্দুরা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা নেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা রাণী মন্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা অফিস৷

এর আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগ পেয়ে রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা আক্তার ও মোখলেছুর রহমান শামীম।

পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়টি সত্যতা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান শামীম৷

তিনি জানান, বান্দুরা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি বাবদ ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২‘শত টাকা করে আদায় করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় ওই এলাকা থেকে৷ পরে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিদ্যালয়ে তদন্তে গেলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা মিলে৷

তিনি আরও জানান, সব কিছু সত্যতা পাওয়ায় এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা রাণী মন্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ(শোকজ)দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন বলেন, পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে পাঠানো হয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা পাওয়ায় প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা রাণী মন্ডলকে শোকজ দেওয়া হয়েছে। এমনি তাকে আগামী তিন(৩) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে৷

ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন ধরনের পরীক্ষা ফি নেওয়া যাবে না৷ তাদের যে স্লিপ ফান্ড দেওয়া হয় সেখান থেকেই এসব খরচ করবে।

ওই বিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য কোন ফি নিয়ে থাকলে সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com